জিবরাইল, আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনী। জিবরাইল, আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হজরত জিবরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে

 আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। 

আজকে আমরা,জিবরাইল, আলাইহি ওয়াসাল্লাম।,সম্পর্কে জানবো। আল্লাহ পাক, অনেক ফেরেস্তা সৃষ্টি করেছেন, তার মধ্যে, জিবরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন।

মর্যাদার দিক দিয়ে, আল্লাহর অতি নিকটবর্তী ফেরেশতা চারজন।তাদের নাম,

জিবরীল, আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
মীকায়ীল, আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
ইসরাফীল, আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
ইযরাইল, আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

এদের মধ্যে, জিবরীল আলাইহি ওয়াসাল্লামকে। রসুল সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।।দুইবার,  তাঁর আসল রূপে দেখেছিলেন। তখন তিনি আকাশ, থেকে যমীনের দিকে নামছিলেন। তাঁর বিরাট দেহ। আসমান ও যমীনের মাঝটা ছেয়ে ফেলেছিল।সুবহানাল্লাহ। 

ইবন মাসউদ,রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু।বলেন,রাসুলুল্লাহ,সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম,বলেন। একদিন। জিবরীল, আলাইহি ওয়াসাল্লাম। 
আসল রূপ, দেখেছিলেন ।এমতাবস্হায়, তাঁর ছয়শো ডানা ছিল। ওর মধ্যকার, প্রত্যেকটি ডানা, দিকচক্রবালকে, ঢেকে রেখেছিল। তাঁর, ডানা থেকে বিভিন্ন রংয়ের, মতি ও ইয়াকূত ঝরে পড়ছিল।

ইবনে "আব্বাসরে বর্ণনায়। নবী (
কারিম, সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম বলেন। জিবরীলের দুই,কাঁধের মাঝের, দূরত্ব হলো, ওড়া পাখীর। পাঁচশো বছর পথ। সুবহানাল্লাহ। আরেক,হাদিসে থেকে, বর্ণিত, জিবরীল, আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এর সবুজ রংয়ের, দু"টি, বিশেষ ডানা আছে। যা তিনি, লাইলাতুল ক্বদরের, ভোরবেলায় সূর্যোদয়ের সময়। ছড়িয়ে দেন।

এত অকল্পনীয়। আকৃতি বিশিষ্ট হওয়া সত্ত্বেও। আল্লাহর ভয়ে জিবরীল।আলাইহি ওয়াসাল্লাম।সব সময় থাকতেন।

ইবনে আব্বাসের রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর। বর্ণনায় আছে, একবার রসুল (কারিম)সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।  জিবরীলকে,

জিজ্ঞেস করেন, আপনি কোন দায়িত্বে আছেন? তিনি বলেন, বাতাস,,ও, আল্লাহর সৈন্য,ফেরেশতা-দের দায়িত্বে আছি।

জিবরীল আমিন। আরো বলন ।সমস্ত নাবী। রাসুল ও, আল্লাহর মাঝে দূত ছিলেন। তিনি আল্লাহর ওয়াহী নিয়ে, নাবীদের উপরে অবতীর্ণ হতেন।

সহীহুল বুখারীর, ভাষ্যমতে, আল্লামা আহমাদ ইবনে মুহাম্মদ, কাসতালানী বলেন,ইবনে আ-দিলের তাফসিরে আছে যে,জিবরীল। আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আমাদের, নবি, মুহাম্মদ, সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপরে। অবতীর্ণ হয়েছিলেন, ২৪০০০ বার,
আদমের (আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর )উপর, ১২ বার,
ইদরিস (আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ) উপর ৪ বার, 
নূহের (আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ) উপর ৫০ বার,

ইবরাহিম (আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর উপর ৪২ বার, 
মূসা (আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর উপর ৪০০ বার,

আর ঈসা (আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর উপর ১০ বার।

জিবরীল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর শক্তির অনুমান, নিম্নের বর্ণনাটি দ্বারা হতে পারে। একবার তিনি, কওমে লূতের শহরগুলো, নিজ ডানায় তুলে ধরেন। ঐ শহর ছিল সাতটি। এবং ঐ শহরের বাসিন্দা ছিল চার লাখ।এবং,তাদের সাথে ছিল পশুপাখী, ও, ঘরবাড়ী এবং জায়গা- জমি প্রভৃতি। ঐ সমস্তকে তিনি।

একটি ডানায়, তুলে আকাশের কাছে পৌছে যান।সুবহানাল্লাহ।  এমনকি, ফেরেশতাগণ তাদের, কুকুরের আওয়াজ ও মোরগের ডাক, শুনতে পান। তারপর তিনি,

ওদেরকে উল্টে দেন। ফলে, তিনি ওদের উপরের অংশটা নীচু করে দেন।

এটাই হল তাঁর মহাশক্তির নমুনা। সুবহানাল্লাহ 

শেষ নাবী, মুহাম্মদ, রাসুলুল্লাহ সাল্লেলাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর, ওফাতের পর, এ জগতে, জিবরীলের আসা

বন্ধ হয়ে যায়।
কেবল মাত্র এখন। বৎসরের একটি রাতে আসেন। তা হল, প্রত্যেক রমযানের শেষ, দশদিনের, মধ্যে, যেকোনো, একটি,বেজোড় রাতে, দুনিয়ায় আসেন।

যে রাতেকে,বলা হয়, লাইলাতুল ক্বদর। 

এই হলো জিবরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংক্ষিপ্ত জীবনী 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ