তহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ফজিলত। তাহাজ্জুত নামাজ কিবাভে পরবো। tahazzut namajer fojilot

 তহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ফজিলত। তাহাজ্জুত নামাজ কিবাভে পরবো। tahazzut namajer fojilot


তাহাজ্জুদ মুমিনের মর্যাদার সোপান। রবের প্রিয় হওয়ার অন্যতম মাধ্যম। ফরজ নামাজের পরই তাহাজ্জুদের স্থান। তাহাজ্জুদের মাধ্যমে পাপ মুছে যায়। আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সরাসরি সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তাহাজ্জুদ প্রাণহীন হৃদয়কে সজীব করার শ্রেষ্ঠ উপায়। কোরআন ও হাদিসে তাহাজ্জুদের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে, নিচে গুরুত্বপূর্ণ ৪টি ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হলো:

এক. পাপ মুছে দেয়: হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘তোমরা কিয়ামুল লাইলের প্রতি যত্নবান হও। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের অভ্যাস এবং রবের নৈকট্য লাভের বিশেষ মাধ্যম। আর তা পাপরাশী মোচনকারী এবং গুনাহ থেকে বাধা প্রদানকারী।’ (তিরমিজি: ৩৫৪৯)

দুই. দোয়া কবুল হয়: নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে কাছের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছো, দোয়া করবে এবং আমি তার দোয়া কবুল করব। কে আছো, আমার কাছে (তার প্রয়োজন) চাইবে এবং আমি তাকে দান করব। কে আছো, আমার কাছে ক্ষমা চাইবে এবং আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বুখারি: ১১৪৫)

তিন. মর্যাদা বৃদ্ধি পায়: নবী (সা.) বলেন, ‘মুমিনের মর্যাদা কিয়ামুল লাইল তথা রাতে দাঁড়িয়ে তাহাজ্জুদ আদায় ও বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে, আর তার সম্মান মানুষ থেকে অমুখাপেক্ষিতার মধ্যে।’ (তবরানি: ৪২৭৮)

চার. জান্নাত লাভ করা যায়: নবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই জান্নাতে রয়েছে এমন কিছু প্রাসাদ, যার বাইরে থেকে ভেতরাংশ দেখা যাবে, ভেতর থেকে বাইরের অংশ দেখা যাবে। এগুলো আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন, যারা মানুষকে খাবার খাওয়ায়, কোমল ভাষায় কথা বলে, ধারাবাহিকভাবে রোজা রাখে, সালামের প্রসার ঘটায় এবং রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তারা নামাজে দাঁড়িয়ে যায়।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২২৯০৫)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ